দেরাদুন
রুদ্ধ হল কেদারবদ্রীর দরজা। শুধু কেদার নয়। বন্ধ হল চারধাম যাত্রা। তিন বছরের জন্য। প্রকৃতির তাণ্ডবলীলার ক্ষত মুছতে এই সময়টুকু দরকার এই পুণ্য তীর্থক্ষেত্রের।
হিমালয়ের কোলে রুদ্রপ্রয়াগ জুড়ে এখন শুধু ধ্বংসলীলার ছবি। কেদারবদ্রী আর বদ্রীনাথ জুড়ে শুধু চাপ চাপ কাদা,মৃত্যু আর ধ্বংস। কেদারে মূল মন্দির ছাড়া আর সব কিছুই খড়কুটোর মতো ভেসে গেছে মন্দাকিনীর স্রোতে। ফলে প্রশ্নের মুখে ঐতিহ্যের চারধাম যাত্রা।
উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনও আটকে আছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। উদ্ধার করা হয়েছে ৩৩ হাজার জনকে। শুক্রবার হরিদ্বারের গঙ্গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রুদ্রপ্রয়াগ থেকে ভেসে আসা ৪১ টি দেহ।
উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল জুড়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ৪৩ টি হেলিকপ্টার আর চপার। তারমধ্যে আছে বায়ুসেনার Mi-26। এটা পৃথিবীর সবথেকে বড় হেলিকপ্টার। মূলত অন্যান্য চপারের জ্বালানি বয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই Mi-26। প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে ছোট চপার কাজ করছে না, সেখানে Mi-26ভরসা। এছাড়া বয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাস্তা সারাই করার ভারী ভারে যন্ত্র। যেগুলোর সাহায্যে উত্তরাখণ্ড জুড়ে রাস্তা মেরামত করছে BRO।
No comments:
Post a Comment